কোষের গঠন
কোষের সংজ্ঞা :-
সজীব পর্দা বিশিষ্ট নিউক্লিয়াসযুক্ত আত্ম প্রজননশীল গুণসম্পন্ন ক্ষুদ্রতম জীবের গঠন গত ও কার্যগত এককে কোষ বলে।
কোষের প্রকারভেদ
কোষ প্রধানত তিন প্রকার
১) প্রোক্যারিওটিক কোষ : সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিহীন উদাহরণ নীলাভ সবুজ শৈবাল মাইকোপ্লাজমা ।
২) ইউক্যারিওটিক কোষ : সুগঠিত নিউক্লিয়াস যুক্ত উদাহরণ উন্নত শ্রেণীর সকল উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষ।
৩) মিসোক্যারিওটিক কোষ :
সুগঠিত নিউক্লিয়াস যুক্ত এবং উভয় কোষের বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন উদাহরণ পেরিনডিনিয়াম , জিমনোডিনিয়াম।
প্রোক্যারিওটিক কোশের বৈশিষ্ট্য :
১) নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয়, এটি নিউক্লিয় পর্দা নিউক্লিওলাস। নিউক্লিওপ্লাজম ও নিউক্লিয় জালিকা বিহীন।
২) সাইটোপ্লাজম এ কোন পর্দাবৃত কোষ অঙ্গাণু থাকে না।
৩) ক্রোমোজোম গঠিত হয় না।
৪) সেন্ট্রোমিয়ার থাকে না ।
৫) রাইবোজোম 70s প্রকৃতির।
৬) কোষ পর্দা থাকে কয়েকটি ক্ষেত্রে কোষপ্রাচীর ও দেখা যায়।
৭) তিনটি কোষীয় অঙ্গাণু প্লাস্টিড মাইটোকনড্রিয়া ও লাইসোজোম থাকে না।
ইউক্যারিওটিক কোশের বৈশিষ্ট্য :
১) নিউক্লিয়াস সুগঠিত ।
২) সাইটোপ্লাজম এ কোন পর্দাবৃত। কোষ অঙ্গাণু থাকে ।
৩) ক্রোমোজোম গঠিত হয়
৪) সেন্ট্রোমিয়ার থাকে ।
৫) রাইবোজোম 80s প্রকৃতির।
৬) কোষ পর্দা ও কোষপ্রাচীর বর্তমান থাকে।
৭) মাইটোসিস ও মিয়োসিস পদ্ধতিতে কোষ বিভাজন হয়।
৮) তিনটি কোষীয় অঙ্গাণু প্লাস্টিড মাইটোকনড্রিয়া ও লাইসোজোম থাকে ।
মিসোক্যারিওটিক কোশের বৈশিষ্ট্য :
১) নিউক্লিয়াস সুগঠিত ।
২)তিনটি কোষীয় অঙ্গাণু প্লাস্টিড মাইটোকনড্রিয়া ও লাইসোজোম থাকে না।
৩) ক্রোমোজোম গঠিত হয় এবং তা আম্লিক প্রোটিন যুক্ত।
৪) সেন্ট্রোমিয়ার থাকে না
৫) রাইবোজোম 80s প্রকৃতির।
৬) কোষ পর্দা থাকে কিন্তু কোষপ্রাচীর বর্তমান থাকে না।
৭) অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিতে কোষ বিভাজন ঘটে।
------------------------------------------------------
দ্বিতীয় অধ্যাযে যেতে ক্লিক করুন
কোষের বিভিন্ন উপাদান ও তাদের কাজ
দ্বিতীয় অধ্যাযে যেতে ক্লিক করুন
কোষের বিভিন্ন উপাদান ও তাদের কাজ
0 comments:
Post a Comment